তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের কৃষকরাই আমাদের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজ থেকে ৫০ বছর আগে তার দূরদর্শিতা দিয়ে উপলব্ধি করেছিলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি সম্পদ বাংলার মানুষ ও মাটি। বাংলাদেশের মাটিতে কৃষকদের এই সোনার ফসল ফলানোর ফলে করোনাকালীন খাদ্য সংকট হয়নি এবং দুর্ভিক্ষের মোকাবিলা করতে হয়নি।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) কৃষি প্রণোদনার আওতায় সিংড়া উপজেলার ১৩ হাজার ৯০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপহার বোরো ধানের বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানের সিংড়া উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার আল-ইমরানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে সিংড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেলিম রেজা, সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট ওহিদুর রহমান শেখ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানসহ এলাকার কৃষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী কৃষি এবং কৃষকদের উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছেন। সার, বীজসহ কৃষি উপকরণ ও সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেছেন। ফলে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে এবং দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। চলন বিলের কৃষকদের শস্য উৎপাদন বেড়ে দেড় গুণ হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৩ বছর আগে বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল। যেখানে সেচের পানির জন্য কৃষকদের হাহাকার করতে হয়েছিল। ১৯৯১ থেকে ৯৬, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে ন্যায্যমূল্যে সার, তেল ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়ার অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করার অপরাধে কৃষকদের জীবন দিতে হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের কৃষকদের একটি উন্নত জীবন উপহার দিয়েছেন।